বায়ুর প্রবাহ

বায়ুর প্রবাহ হলো বায়ুর স্থান পরিবর্তন। বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন তাপমাত্রা এবং চাপের কারণে বায়ুর প্রবাহ তৈরি হয়। বায়ুর প্রবাহ পৃথিবীর আবহাওয়া এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে। বায়ুর তাপ ও চাপের পার্থক্যের জন্য বায়ু সর্বদা একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয়। ভূপৃষ্ঠে সমান্তরাল বায়ু চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে।

বায়ুপ্রবাহের বৈশিষ্ট্য: বায়ুপ্রবাহ সাধারণত কয়েকটি বিশেষ নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হয়। যথা-
১) উচ্চচাপ বলয় থেকে শীতল ও ভারি বায়ু নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
২) ফেরেলের সূত্র (Ferrel's Law) অনুসারে বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়।

চাপ বলয় (Pressure belts): ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন অক্ষাংশের তাপের পার্থক্য এবং গোলাকার পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বায়ুমন্ডলে কয়েকটি চাপ বলয় উৎপন্ন হয়। যেমন:
১. নিরক্ষীয় চাপ বলয়
২. ক্রান্তিয় উচ্চচাপ বলয়
৩. উপ মেরু বিত্তের নিম্নচাপ বলয়
৪. মেরু অঞ্চলের উচ্চচাপ বলয়

বায়ুপ্রবাহের প্রকারভেদ

বায়ুপ্রবাহ কয়েক প্রকারের হতে পারে। যেমন- নিয়ত বায়ু, সমুদ্র ও স্থলবায়ু, মৌসুমী বায়ু।

নিয়ত বায়ু

নিয়ত বায়ু পৃথিবীর চাপ বলয়গুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে বছর সকল সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়। যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে নিয়ত বায়ু বলা হয়। নিয়ত বায়ু তিন প্রকারের- অয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ু।

ক) অয়ন বায়ু : নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় থেকে উষ্ণ ও হালকা বায়ু উপরে উঠে গেলে কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে শীতল ও ভারী বায়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়, এরূপ বায়ুকে অয়ন বায়ু বলা হয়। ফেরেলের সুত্র অনুসারে এ বায়ু উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে পরিচালিত জাহাজগুলো এ বায়ুপ্রবাহের দিক অনুসরণ করতো বলে এগুলোকে অয়ন বায়ু বা বাণিজ্য বায়ু বলা হয়। উত্তর-পূর্ব অয়ন বায়ু ঘণ্টায় প্রায় ১৬ কিমি এবং দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু প্রায় ২২.৫৪ কিমি বেগে প্রবাহিত হয়। উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী হলে অত্যধিক তাপে উষ্ণ ও হালকা হয়ে উর্ধেব উঠে যায়। তখন নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর অনুভূমিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং নিরক্ষরেখার উভয়দিকে উত্তর-দক্ষিণে ৫ অক্ষাংশ পর্যন্ত একটি শান্ত বলয়ের সৃষ্টি হয়। এ বলয়কে নিরক্ষীয় শান্ত বলয় (Doldrum) বলে।

খ) পশ্চিমা বায়ু বা প্রত্যয়ন বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে অয়ন বায়ু ব্যতীত আরও দুটি বায়ুপ্রবাহ মেরুবৃত্ত নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। উত্তর গোলার্ধে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ুপ্রবাহকে পশ্চিমা বায়ু বলে। উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের পরিমাণ অধিক বলে স্থানীয় কারণে পশ্চিমা বায়ুর সাময়িক বিরতি ঘটে। কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে জলভাগের পরিমাণ বেশি বলে পশ্চিমা বায়ু প্রবলবেগে এ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। এজন্য এই বায়ুপ্রবাহকে প্রবল পশ্চিমা বায়ু (Brave west winds) বলে। ৪০ থেকে ৪৭ দক্ষিণ পর্যন্ত পশ্চিমা বায়ুর গতিবেগ সর্বাপেক্ষা বেশি। এ অঞ্চলকে গর্জনশীল চল্লিশ (Roaring forties) বলে।

নিরক্ষীয় শাস্ত্র বলয়ের ন্যায় ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়েও দুটি শান্ত বলয়ের সৃষ্টি হয়। ৩০ থেকে ৩৫ উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় দুটি অবস্থিত। বায়ু নিম্নগামী বলে এই অঞ্চলে অনুভূমিক বায়ুপ্রবাহ অনুভব করা যায় না। প্রাচীনকালে যখন আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে জাহাজযোগে ইউরোপ থেকে আমেরিকায় অশ্ব ও অন্যান্য পশু রপ্তানি করা হতো তখন এ অঞ্চলে পৌঁছলে বায়ুপ্রবাহের অভাবে পালচালিত জাহাজের গতি মন্থর বা প্রায় নিশ্চল হয়ে পড়ত। এ অবস্থায় নাবিকগণ খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে অনেক সময় তাদের অশ্বগুলো সমুদ্রে ফেলে দিত। এজন্য আটলান্টিক মহাসাগরের ক্রান্তীয় শান্ত বলয়কে অশ্ব অক্ষাংশ (Horse latitude) বলে। উত্তর গোলার্ধে ৩০ থেকে ৩৫ উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত অঞ্চলটিতে শীতকালেও পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়।

গ) মেরু বায়ু (Polar Winds): মেরু অঞ্চলের উচ্চচাপ বলয় থেকে অতি শীতল ও ভারী বায়ু উত্তর গোলার্ধে নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ু উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এবং, দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়। এ প্রবাহদ্বয়কে সুমেরু বায়ু ও কুমেরু বায়ু বলে।

বায়ু প্রবাহউত্তর গোলার্ধদক্ষিণ গোলার্ধ
অয়ন বায়ুউত্তর-পূর্ব দিক থেকেদক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে
পশ্চিম বায়ুদক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকেউত্তর-পশ্চিম দিক থেকে
মেরু বায়ুউত্তর-পূর্ব দিক থেকেদক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে

সাময়িক বায়ু : দিনের কোনো নির্দিষ্ট সময়ে অথবা বছরের কোনো নির্দিষ্ট ঋতুতে যে বায়ুপ্রবাহ জল ও স্থলভাগের তাপের তারতম্যের জন্য সৃষ্টি হয় তাকে সাময়িক বায়ু বলে। যথা-সমুদ্রবায়ু, স্থলবায়ু ও মৌসুমী বায়ু।

দিনের বেলায়ে স্থলভাগ বেশি উত্তপ্ত হয় বলে সেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। কিন্তু জলভাগ বেশি উত্তপ্ত হয় না বলে সেখানকার বায়ু উচ্চচাপ যুক্ত হয়। ফলে তখন জলভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়। একে সমুদ্রবায়ু বলে। আবার রাত্রিকালে জলভাগের চেয়ে স্থলভাগ বেশি শীতল বলে স্থলভাগের বায়ু উচ্চচাপ যুক্ত হয়। তখন স্থলভাগ থেকে জলভাগ বা সমুদ্রের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়। একে স্থলবায়ু বলে। বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থানের কারণে সামুদ্রিক ও স্থলবায়ু নিয়মিত প্রবাহিত হয়।

সমুদ্র বায়ুর বৈশিষ্ট্য:
১) দিনের বেলা সমুদ্র থেকে বায়ু স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়।
২) এ বায়ু সকাল ১০টা থেকে প্রবাহিত হতে থাকে। বিকালে (অপরাহ্নে) এ বায়ুর বেগ সবচেয়ে বেশি হয়।

স্থলবায়ুর বৈশিষ্ট্য:
১) রাতের বেলা স্থলভাগ থেকে বায়ু সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়।
২) সন্ধ্যার পর থেকে এ বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে রাত ৩ টায় এ বায়ুর বেগ সবচেয়ে বেশি হয়।

মৌসুমি বায়ু

আরবি ভাষায় "মওসুম' শব্দের অর্থ ঋতু। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় তাকে মৌসুমি বায়ু বলে। সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের ফলে শীত-গ্রীষ্মে ঋতুভেদে স্থলভাগ ও জলভাগের তাপের তারতম্য ঘটে। সেজন্য মৌসুমি বায়ুর সৃষ্টি হয়। উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালে সূর্য কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এর ফলে কর্কটক্রান্তি অঞ্চলের অন্তর্গত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তর-পশ্চিম ভারত, মধ্য এশিয়া প্রভৃতি স্থানের স্থলভাগ অতিশয় উত্তপ্ত হয়। ফলে এ সকল অঞ্চলে বায়ুর চাপ কমে যায় এবং একটি সুবৃহৎ নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে দক্ষিণ গোলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে আগত দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে এশিয়া মহাদেশের নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবলবেগে ছুটে যায়। এ বায়ুকে উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মের মৌসুমি বায়ু বলে। নিরক্ষরেখা অতিক্রম করলে ফেরেলের সূত্র অনুসারে দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু গতি বেঁকে দক্ষিণ- পশ্চিম থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এজন্য গ্রীষ্মের এ বায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বলে।

গ্রীষ্মের মৌসুমি বায়ু সমুদ্রের উপর দিয়ে আসে বলে এতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে। এটি আরব সাগরীয় ও বঙ্গোপসাগরীয় এ দুটি শাখায় বিভক্ত হয়। আরব সাগরীয় শাখা পাকিস্তান ও পশ্চিম ভারতে এবং বঙ্গোপসাগরীয় শাখা বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। স্থলভাগের উপর দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আসে বলে এটা শুষ্ক। এ মৌসুমি বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করলে ফেরেলের সূত্র অনুসারে বাম দিকে বেঁকে যায় এবং উত্তর-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুরূপে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে অগ্রসর হয় এবং বৃষ্টিপাত ঘটায়।

শীতকালে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণ: বর্ষাকালে বাংলাদেশের উপর দিয়ে জলীয়বাষ্পপূর্ণ মৌসুমী বায়ুপ্রবাহিত হয়। ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। পক্ষান্তরে, শীতকালে বাংলাদেশের উপর দিয়ে মহাদেশীয় বায়ু প্রবাহিত হয়। এ বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম। ফলে এ সময় বৃষ্টিপাত হয় না বললেই চলে।

স্থানীয় বায়ু

স্থানীয় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য কিংবা তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে ভূপৃষ্ঠের স্থানে স্থানে স্থানীয় বায়ুর উৎপত্তি হয়। পৃথিবীতে প্রায় কয়েকশ স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ আছে। যেমন- রকি পর্বতের চিনুক (Chinook), ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় মালভূমি থেকে প্রবাহিত মিস্ট্রাল (Mistral), আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের পম্পাস অঞ্চলের উত্তরে পাম্পেরু (Pampero), আড্রিয়াটিক সাগরের পূর্ব উপকূলে বোরা (Bora), উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ ইতালিতে সিরক্কো (Sirocco), আরব মালভূমির সাইমুম (Simoom), মিসরের খামসিন (Khamsin) ও ভারতীয় উপমহাদেশের লু (Loo) কয়েকটি স্থানীয় বায়ুর উদাহরণ।

অনিয়মিত বায়ু

কোনো স্থানে অধিক উত্তাপের জন্য বায়ুর চাপ কমে যায় এবং নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। আবার অত্যধিক শৈত্যের জন্য কোনো স্থানের বায়ু শীতল হলে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। ফলে যে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে অনিয়মিত বায়ু বলে। যেমন- ক) ঘূর্ণিবাত (Cyclone) খ) প্রতীপ ঘূর্ণিবাত (Anti- Cyclone)

বায়ু প্রবাহউত্তর গোলার্ধদক্ষিণ গোলার্ধ
ঘূর্ণিবাতঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে (বামাবর্তে)ঘড়ির কাঁটার দিকে
প্রতীপ ঘূর্ণিবাতঘড়ির কাঁটার দিকে (দক্ষিণাবর্তে)ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে
  • সাইমুম : সাহারা ও আরব মরুভূমির স্থানীয় বায়ু।
  • চিনুক: উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতের পূর্বপার্শ্বের স্থানীয় বায়ু।
  • অয়ন বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে সদা প্রবাহিত বায়ুকে অয়ন বায়ু বলা হয়।
  • বাণিজ্য বায়ু : পূর্বকালে অয়ন বায়ুর সাহাজ্যে পালতোলা বানিজ্য জাহাজ চলাচল করত বলে, অয়ন বায়ুকে বাণিজ্য বায়ুও বলা হয়।
  • প্রত্যয়ন বায়ু বা পশ্চিমা বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে মেরুদেশীয় নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে সদা প্রবাহিত বায়ুকে প্রত্যয়ন বায়ু বলা হয়।
  • গর্জনশীল চল্লিশ : উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের আয়তন বেশি বলে স্থানীয়ভাবে পশ্চিমা বায়ুর গতির বেশ পরিবর্তন ঘটে। তবে দক্ষিণ গোলার্ধে পানির ভাগ বেশি থাকায় পশ্চিমা বায়ু বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হয়। প্রায় ৪০ ডিগ্রি দক্ষিণ থেকে ৪৭ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ পর্যন্ত পশ্চিমা বায়ুর গতিবেগ সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলকে গর্জনশীল চল্লিশ বলে। এই বায়ুপ্রবাহকে প্রবল পশ্চিমা বায়ু বলে।
  • সাগর পৃষ্ঠে কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা কত হলে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়: সাধারণত সমুদ্রের কোনো স্থানে ৮৫ ডিগ্রি ফা. বা ৭০ ডিগ্রি ফা. (২৬ ডিগ্রি সে. এর বেশি) তাপ থাকলে পানি দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়ে উপরে উঠতে থাকে। ফলশ্রুতিতে সেখানে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় ও ঘূর্ণিবাত আরম্ভ হয়।
Shopping Cart
error: Content is protected !!
Scroll to Top